ঘরে বসেই ফ্রি মডেল টেস্ট

বিসিএস প্রিলি, বার কাউন্সিল প্রিলি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সহ যেকোনো নিয়োগ পরীক্ষার ফ্রি মডেল টেস্ট দিতে যুক্ত হোন আমাদের সাথে।

গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সমূহ
❏ ৩০০+ ফ্রি মডেল টেস্ট।
❏ রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা ছাড়াই যখন ইচ্ছে তখন ফ্রিতে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুবিধা।
❏ সকল প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর এবং নেগেটিভ মার্কিং সহ প্রতিটি মডেল টেস্টের উত্তরপত্র।
বিষয় নির্বাচন করুন
৩০ ফ্রি মডেল টেস্ট
১৬ ফ্রি মডেল টেস্ট
১৬ ফ্রি মডেল টেস্ট
২৬ ফ্রি মডেল টেস্ট
২০ ফ্রি মডেল টেস্ট
২৬ ফ্রি মডেল টেস্ট
২৬ ফ্রি মডেল টেস্ট
০৬ ফ্রি মডেল টেস্ট
১৫ ফ্রি মডেল টেস্ট

চাকরির প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন

চাকরির পরীক্ষায় পাস করা কি আসলেই খুব কঠিন? আসলে একদম সহজও নয়, আবার খুব কঠিনও নয়।
প্রস্তুতি যদি পরিকল্পিতভাবে ঠিকঠাক নেওয়া যায়, তাহলে হাজার হাজার প্রার্থীর মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব।
পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু টেকনিক অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লক্ষ্য যেন ঠিক থাকে

চাকরির প্রস্তুতির শুরুতেই লক্ষ্য ঠিক রাখা খুব জরুরি। কিছুদিন একটির প্রস্তুতি নিয়ে আবার কিছুদিন অন্যটার প্রস্তুতি, এভাবে এগোতে থাকলে তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে এগোতে হবে।

পরীক্ষার ধরন

আপনি যে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রথমেই তার সিলেবাস এবং প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে নিন।
এতে আপনাকে কী কী বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি নিতে হবে, তা জানতে পারবেন। বিগত সালের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ুন।

কীভাবে পড়তে হবে?

বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কম্পিউটারের ওপর জোর দিন বেশি। মুখস্থ নয়, পড়তে হবে বুঝে।
দ্রুত অধ্যায় শেষ করার চিন্তা না করে সময় দিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে বেশি বেশি।

বাংলা ব্যাকরণ

পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্যের এমসিকিউ প্রশ্নগুলো হয় সাধারণত তথ্যমূলক, ফলে মুখস্থ করতে হয়। কিন্তু ব্যাকরণের প্রশ্নের উত্তর ভালো করার জন্য নিয়ম বোঝা ও অনুশীলনের ওপর জোর দিতে হবে। বানান থেকে ইদানীং বিভিন্ন পরীক্ষায় অনেক প্রশ্ন দেখা যায়। তাই বাংলা একাডেমির বানানের নিয়ম ভালো করে দেখতে হবে।
শব্দ ভান্ডার, ধ্বনি ও বর্ণ, সন্ধি ও সমাস, উপসর্গ, কারক বিভক্তি, পদ প্রকরণ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, বাগধারা, বাক্য সংকোচন, লিঙ্গান্তর, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বানান—ব্যাকরণ অংশের গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো আয়ত্তে রাখতে হবে।

বাংলা সাহিত্য

সাহিত্য অংশের জন্য প্রথমেই বিখ্যাত সাহিত্যিকের জীবনী, ছদ্মনাম ও সাহিত্য কর্মগুলোর নাম জানতে হবে। বিখ্যাত সাহিত্য থেকে চরিত্র এবং বিখ্যাত উক্তি গুলো জেনে রাখতে হবে। সাধারণত আধুনিক যুগ থেকেই চাকরির পরীক্ষায় বেশি প্রশ্ন আসে।
তবে সাহিত্য অংশে প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক—তিনটি যুগ সম্পর্কেই পরিপূর্ণ ধারণা রাখা উচিত। এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক সাহিত্য, সাহিত্য পত্রিকা সম্পর্কে গভীর ধারণা রাখতে হবে।

ইংরেজি গ্রামার

ইংরেজি গ্রামার অংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ Tense, Parts of speech, Right form of verb, Preposition, Article, Synonyms, Antonyms, Correction—এই বিষয়গুলো বেশ ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে।

ইংরেজি সাহিত্য

বিখ্যাত সাহিত্যিকের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম থেকেই মূলত এই অংশের বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হয়।

গণিত

গণিতের প্রস্তুতির শুরুতেই মন থেকে গণিত ভীতি দূর করতে হবে এবং হাতে সময় নিয়েই শুরু করা উচিত।
পাটিগণিতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হলো- লসাগু-গসাগু, ভগ্নাংশ, গড়, ঐকিক নিয়ম, সরল-মুনাফা, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি।
আর বীজগণিতের ক্ষেত্রে বাস্তব সংখ্যা, মান নির্ণয়, সমাধান, সরল, উৎপাদক বেশ ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। জ্যামিতি অংশের জন্য ত্রিভুজ, কোণ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল, বৃত্ত ইত্যাদি দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। প্রস্তুতির শুরুতেই শর্টকাট পদ্ধতি এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে অ্যাডভান্স হয়ে গেলে পরে নিজেই শর্টকাট পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারবেন।

সাধারণ জ্ঞান

সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। মানচিত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক।
পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকা পড়া এবং সংবাদ শুনার অভ্যাস করতে পারলে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।

কম্পিউটার ও আইসিটি

প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ও আইসিটির ওপর প্রশ্ন থাকে।
বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় কম্পিউটার ও আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) থেকে ১৫টি প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষায়ও ৫-১০টি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার যে সিলেবাস দিয়েছে, সেটার পাশাপাশি আরো কিছু বিষয়বস্তু পড়লে কম্পিউটার ও আইসিটির পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে।

কম্পিউটার

কম্পিউটার পেরিফেরালস (কি-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, প্রিন্টার, ওসিআর, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি)। কম্পিউটারের কাঠামোগত ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন প্রসেসর, সিপিইউ, র‌্যাম, রম ইত্যাদি। দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার।
বাইনারি বা দ্বিমিক সংখ্যা পদ্ধতি, অপারেটিং সিস্টেমস, কম্পিউটারের ইতিহাস ও প্রকারভেদ, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (সি প্লাস, জাভা, এইচটিএমএল, পিএইচপি ইত্যাদি), ডাটাবেইস সিস্টেম, ভাইরাস, অ্যান্টি-ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

ই-কমার্স; সেলুলার ডাটা নেটওয়ার্ক, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (ল্যান, ম্যান, ওয়াই-ফাই, ওয়াইম্যাক্স ইত্যাদি), ইন্টারনেট, ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব, দৈনন্দিন জীবনে তথ্য-প্রযুক্তি, স্মার্টফোন, নিত্যপ্রয়োজনীয় কম্পিউটিং ও প্রযুক্তি পণ্য, ই-মেইল, ফ্যাক্স, ক্লায়েন্ট-সার্ভার ম্যানেজমেন্ট, মোবাইল প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যসমূহ, তথ্য-প্রযুক্তির বড় প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও তাদের সেবা, ক্লাউড কম্পিউটিং; সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মিডিয়া (ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি), সাইবার ক্রাইম।
তথ্য-প্রযুক্তির অনেক তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন হচ্ছে। এ জন্য দৈনিক পত্রিকাগুলোর তথ্য-প্রযুক্তির পাতায় চোখ রাখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নোট করে রাখতে পারেন।

মডেল টেস্টভিত্তিক প্রস্তুতি

প্রস্তুতি সবাই নেয়, কিন্তু অনুশীলনের অভাবে অনেক জানা প্রশ্নের উত্তরও ভুল করে আসে অনেকেই। এর মূল কারণ হলো অনুশীলনের অভাব অর্থাৎ মডেল টেস্ট না দেওয়া।
ভালো প্রস্তুতির জন্য নিজেকে যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য মডেল টেস্টের বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত মডেল টেস্ট দিন, নিজেই যাচাই করুন নিজেকে।
আপনি চাইলে আমাদের ওয়েব সাইটে ঘরে বসেই ফ্রি মডেল টেস্ট দিতে পারেন।
আপনি যত বেশী পড়বেন তত বেশী ভালো করবেন। আর যত মডেল টেস্ট দিবেন, তত আপনার পাশ করার সম্ভাবনা বাড়বে। কোথায় কোথায় বেশী ভুল করেন সেগুলোর দিকে বেশী করে নজর দিতে হবে। ওগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।

বার কাউন্সিল প্রিলি পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন

প্রথমে বার কাউন্সিল প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস দেখে নিন ভালো করে।
দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭, দণ্ডবিধি ১৮৬০, সাক্ষ্য আইন ১৮৭২, তামাদি আইন ১৯০৮, পেশাগত আচরণ এবং বার কাউন্সিল এই ৭ টি বিষয় থেকে বার কাউন্সিল প্রিলি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে।
পরীক্ষায় পাশ করার জন্য বেয়ারঅ্যাক্ট বা মূল আইন পড়া ছাড়া পাশ করা সম্ভব নয়। আপনাকে অবশ্যই নিয়মিতভাবে বেয়ারঅ্যাক্ট বা মূল বই পড়তে হবে।
নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতে হবে। প্রস্তুতি সবাই নেয়, কিন্তু অনুশীলনের অভাবে অনেক জানা প্রশ্নের উত্তরও ভুল করে আসে অনেকেই। তাই যতবেশী মডেল টেস্ট দিবেন তত ভুল কম হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। আর পাস নাম্বার হলো ৫০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নাম্বার কাটা যাবে।